ঘড়িতে রাত বারোটা, এয়ারপোর্টে ভিড় কমে এসেছে,
প্লেনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে এক শিশু মাকে বলল—
"মা, কাল সকালে আমরা সমুদ্র দেখব, তাই তো?"
মা হাসলেন, চুলে হাত বুলিয়ে দিলেন।
পাইলট মাইকে বললেন,
"আমরা এখন আকাশের পথে, সবার জন্য শুভযাত্রা।"
নীল মেঘে ভেসে চলছিলো প্লেন,
নিচে আলো ঝলমল শহর, দূরে চাঁদের আলো।
কিন্তু হঠাৎ—
আকাশ ফেটে গেল বজ্রের মতো শব্দে,
এক পাখি নয়, যেন আগুনের দানব ছিঁড়ে খেল ডানা।
প্লেন কেঁপে উঠল, আলো নিভে গেল,
চিৎকারে ভরে উঠল কেবিন—
মায়ের বুকের কাছে শিশু শক্ত করে জড়িয়ে ধরল,
পাশের সিটে বৃদ্ধ লোক কাঁপা হাতে তসবিহ টিপছেন।
পাইলটের কণ্ঠ কেঁপে উঠল—
"মে ডে! মে ডে! ইঞ্জিন ব্যর্থ… আমরা… নিচে যাচ্ছি…"
তারপর শুধু ঝাঁকুনি,
আর এক মুহূর্তের অন্ধকার।
মাটির বুকে আগুনের ফুল ফেটে উঠল,
সেই শিখায় পোড়ে শেষ চিঠি, শেষ ছবি, শেষ স্বপ্ন।
পোড়া ধোঁয়ার গন্ধে আকাশও যেন কাঁদল সেদিন।
পরদিন খবরের শিরোনাম—
"কেউ বেঁচে নেই।"
এয়ারপোর্টের অপেক্ষার কক্ষে,
এক বৃদ্ধা কানে হাত দিয়ে বসে আছেন,
মনে মনে বলছেন— "ওরা তো মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ছিল আমার সঙ্গে…"
আকাশে তখনো উড়ে যায় অন্য বিমান,
কেউ জানে না, তাদের শেষ যাত্রা কবে হবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
ওরা তো মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ছিল আমার সঙ্গে…"
আকাশে তখনো উড়ে যায় অন্য বিমান,
কেউ জানে না, তাদের শেষ যাত্রা কবে হবে। ঃ ভালো লিখেছেন কাইয়ুম ভাই।অনেক ধন্যবাদ রইল ।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
পরদিন খবরের শিরোনাম—
"কেউ বেঁচে নেই।"
এয়ারপোর্টের অপেক্ষার কক্ষে,
এক বৃদ্ধা কানে হাত দিয়ে বসে আছেন,
মনে মনে বলছেন— "ওরা তো মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ছিল আমার সঙ্গে…"
আকাশে তখনো উড়ে যায় অন্য বিমান,
কেউ জানে না, তাদের শেষ যাত্রা কবে হবে।
২২ জুলাই - ২০২৩
গল্প/কবিতা:
২৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।